x9Vqys1dSq61ciaKAbaEFXEh5M0 Kholabangla: April 2010

Menu Bar

Monday, April 19, 2010

উইন্ডোজের সমস্যা হলে তার সমাধান

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ফাইল নষ্ট হলে বা পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা অন্য কোনো সমস্যা হলে নতুন করে ইনস্টল করতে হয়। সে ক্ষেত্রে তথ্য উদ্ধার করা বেশ ঝামেলার হয়। কিন্তু যদি হাতের কাছে স্পটমাউ পাওয়ার স্যুট ২০০৯-এর সিডি থাকে, তাহলে সহজেই এসব সমস্যার সমাধান করা যায়। এই সফটওয়্যার উইন্ডোজের সব সংস্করণেকাজ করবে। সফটওয়্যারটি নামানোর ১১টি ঠিকানা এবং আরও বিভিন্ন সফটওয়্যরের তথ্য পাওয়া যাবে http://takingsoftware.
blogspot.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে।

ফেইসবুক নেটওয়ার্কে যোগ দিন

ফেইসবুকে অনেকে নেটওয়ার্কে যোগ দেয়ায় নামের পাশে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখা যায়, অনেকের দেখা যায় না। কোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে চাইলে Settings থেকে Account Settings-এ ক্লিক করে Networks-এ গিয়ে Network Name-এ যে নাম দিতে চান সেটি লিখে Join Network-এ ক্লিক করলে একাধিক নেটওয়ার্কের সাথেও যুক্ত হওয়া যাবে।

ফেসবুকের মেইল বন্ধ করুন

ফেইসবুকে Add Request, message বা wall-এ কিছু লিখে বা ছবিতে Comments করে তাহলে তা আবার ই-মেইল-এর মাধ্যমে আপনাকে জানানো হয়। এতে ফেইসবুক থেকে অসংখ্য ই-মেইল আসে। এটি থেকে মুক্তি পেতে Settings-এ গিয়ে Account Settings-এ ক্লিক করুন। নতুন যে পেজটি আসবে সেটি থেকে Notification-এ ক্লিক করুন। এখন ডান পাশ থেকে সব টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফন্ট পরিবর্তন

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে (এমএস ওয়ার্ড) কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় একই লেখায় বাংলা ও ইংরেজি দুটো ভাষা টাইপ করতে হয়। আপনি ইচ্ছে করলে এক ক্লিকে ফন্ট পরিবর্তন করতে পারেন। এ জন্য Tools/customize/ categories/fonts-এ যান এবং আপনি যে ফন্ট বেশি পরিবর্তন করে থাকেন ডান পাশ থেকে তা মাউসের সাহায্যে ড্রাগ করে মেনুবারে নিয়ে বক্সটি close করে দিন। মেনুবারে ফন্টটি এসে যাবে। এ জন্য Tools/customize/keyboard/categories/fonts-এ যান। এবার ফন্ট নির্বাচিত করুন এবং Press new shortcut key অপশনে আপনার পছন্দের শর্টকাট কি চাপুন, যেমন, Ctrl+5। এখন লেখার সময় এ শর্টকাট কি চাপলেই তা স্বয়ংক্রীয়ভাবে কাজ করবে।

Sunday, April 18, 2010

ফেসবুকে বন্ধুত্বের অনুরোধ

ফেসবুকে কাউকে Add Request পাঠালে বার বার শুধু Security code চায়। এটি থেকে মুক্তি পেতে হলে যখন Security code চাইবে তখন Verify your account-এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেখানে আপনার ফোন নম্বর লিখে Confirm-এ ক্লিক করলে দেখবেন আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর এসেছে। ওই কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Confirm-এ ক্লিক করুন।

দ্রুত কম্পিউটার খুলুন

কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় কম্পিউটার খুলতে দেরি হয়। কম্পিউটার খোলার কাজটি দ্রুত করতে উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমে Start/Run-এ যান। এবার Msconfig লিখে Start up থেকে টিক চিহ্নগুলো তুলে দিন। এরপর Apply দিয়ে Ok করে বেরিয়ে আসুন। এবার কম্পিউটার রিস্টার্ট করলে দ্রুত চালু হবে।

নিজেই বানান উইন্যাম্প স্কিন

গান শোনার জনপ্রিয় সফটওয়্যার উইন্যাম্পে স্কিন হিসেবে নিজের পছন্দমতো ছবি ব্যবহার করা যায়। এ জন্য প্রথমে একটি ছবি নির্বাচন করুন এবং ছবিটি ফটোশপ সফটওয়্যারে খুলুন।
এবার image/image size থেকে width 276 and height 118 pixels নির্ধারণ করুন। এবার file/save as-এ গিয়ে save as type হিসেবে BMP নির্বাচন করে mainÊনামে ছবিটি সেভ করুন। এরপর BMP optionsÊআসবে। এখানে ফাইল ফরম্যাটের windowsÊএবং depth থেকে 16 বা 24 bit নির্ধারণের পর ok করে বের হয়ে আসুন। এখন ফটোশপ থেকে বের হয়ে আসুন। C:\Program Files\Winamp\Skins-এ যান এবং এখানে নতুন একটি ফোল্ডার পছন্দসই নামে তৈরি করুন।
আপনার তৈরি main (BMPÊ) format-এর ফাইলটি ওই ফোল্ডারে কপি করে পেস্ট করে দিন। এখন শুধু winamp চালিয়ে menu অপশন থেকে skin-এ গিয়ে আপনার তৈরি করা স্কিনে ক্লিক করে নিন।

পেনড্রাইভের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

ভাইরাসের আক্রমণ থেকে পেনড্রাইভের সুরক্ষার জন্য পেনড্রাইভ কখনো সরাসরি Open অথবা Explore করে না খুলে My computer-এ গিয়ে Address Bar থেকে Drive Letter লিখে ( যেমন L হলে L ) পেনড্রাইভ খুলুন। এ ছাড়া Tools/Folder Options-এ গিয়ে View অপশন থেকে Show Hidden Files and Folders, Hide Extensions for known File Types, Hide Protected Operating System Files চেকবক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে হিডেন সিস্টেম ফাইল শো করুন এবং কোনো সন্দেহজনক হিডেন (*.exe) ফাইল পেলে মুছে ফেলুন। পেনড্রাইভে autorun.inf নামে একটা ফোল্ডার (ফাইল নয়) তৈরি করে রাখুন। ফলে এর জায়গায় autorun.inf ভাইরাস নিজস্ব ফাইল তৈরি করতে পারবে না।

সংযুক্তি ছাড়াই ছবি পাঠান

বিনামূল্যে ই-মেইল সুবিধা প্রদানকারী জিমেইলে সাধারণত ছবি অথবা কোনো ফাইল পাঠাতে সংযুক্তি (অ্যাটাচ) করে পাঠাতে হয়। ইচ্ছে করলে পাঠানো মেইলের মাধ্যমে ছবি যোগ করে মেইল করা যায়। এ জন্য প্রথমে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টটি লগইন করে Settings থেকে Labs অপশনে ক্লিক করুন। এখান থেকে Inserting Images অপশন Enable করুন এবং সেটিংস সেভ করে বের হয়ে আসুুন। খেয়াল করুন, কম্পোজ বক্সে Inserting Images অপশনের আইকন চলে এসেছে। এই আইকনে ক্লিক করে পছন্দের কোনো ছবি বা ছবির ওয়েব লিংক লেখার মাঝখানে যোগ করতে পারবেন।

সহজেই এক ফাইলে একাধিক ফন্ট

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কোনো ফাইল তৈরি করতে গিয়ে একই ফাইলে একাধিক ফন্ট ব্যবহার করার দরকার হতে পারে। যেমন: বাংলা ফন্ট ‘সুতন্নি এমজে’ বা ইংরেজি ফন্ট ‘টাইমস নিউ রোমান’। এভাবে একটি বড় ফাইলে বারবার ফন্ট নির্বাচন করা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ এবং বিরক্তিকর ব্যাপার। কাজেই যেসব ফন্ট বারবার দরকার হবে, সেগুলোর শর্টকাট যদি টুলবারে আগে থেকে রেখে দেওয়া যায়, তাহলে খুব কম সময়ে বিভিন্ন ফন্ট ব্যবহার করে ডকুমেন্ট তৈরি করা যাবে।
এর জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড খুলে মেনুবার বা টুলবারের ওপর কার্সর রেখে ডান ক্লিক করে ‘customize’-এ যান।এর পর কাস্টমাইজ উইন্ডোতে ‘commands’ ট্যাবে ক্লিক করলে categories এবং commands নামের পাশাপাশি দুটি বক্স দেখা যাবে। categories বক্স থেকে ফন্ট নির্ধারণ করলে ‘কমান্ডস’ বক্সে সব ফন্ট দেখা যাবে। যেকোনো ফন্টকে টেনে এনে মেনুবার বা টুলবারের ওপর যেকোনো জায়গায় ছেড়ে দিন (ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ)। এভাবে যতগুলো ফন্ট দরকার টেনে আনুন।মেনুবার বা টুলবারের ওপর ফন্টের নাম দেখা যাবে। এরপর প্রয়োজনমতো যেকোনো ফন্টের ওপর ক্লিক করে বাংলা বা ইংরেজি কিবোর্ড নির্বাচন করে কাজ করতে পারবেন।

টিপস

গুগলের পটভূমিতে পছন্দের ছবি
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সাইটে ঢুকলে বা সার্চ করলে যদি পটভূমিতে পছন্দের ছবি দেখা যায়, তাহলে কেমন হয়! ফায়ারফক্স ওয়েব ব্রাউজারে অ্যাড-অন্সের সাহায্যে এই মজাটুক করা যায়। এ জন্য ২.৯ মেগাবাইটের অ্যাড-অন্সটি https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/10443 থেকে ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন। এবার ফায়ারফক্সের স্ট্যাটাসবারের ডানে Change your Google Background আইকনে ক্লিক করে Google Background Changer উইন্ডো থেকে Image Location-এ ছবির ঠিকানা নির্বাচন করে Ok করুন। এবার গুগলের সাইটে ভিজিট করে দেখুন পটভূমিতে সদ্য সেট করা ছবিটি দেখা যাচ্ছে। আর সার্চের ফলাফলের পটভূমিতে যদি ছবিটি দেখতে চান, তাহলে Show Image in results page এ চেক করতে হবে। এ ছাড়া Google Text-এ যা লিখবেন না, তা গুগলের মূল লোগো পরিবর্তে দেখা যাবে।

টিএসআর না থাকাই ভালো

কম্পিউটারে বিভিন্ন কারণে টিএসআর প্রোগ্রাম ব্যবহূত হয়ে থাকে। কম্পিউটারকে ভাইরাসমুক্ত রাখার জন্য যদি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল থাকে, তখন তা টিএসআর হিসেবেই থাকে। আবার কোনো কোনো ভাইরাস টিএসআর প্রোগ্রাম হিসেবে নিজেকে র্যামে রেখে দেয়।
টিএসআরকে সারাবেন কীভাবে: উইন্ডোজ ৯৫, ৯৮ ও এমই অপারেটিং সিস্টেমচালিত কম্পিউটার থেকে টিএসআরকে সরাতে Alt+Ctrl+Del এক সঙ্গে চেপে ধরতে হবে। Close Program উইন্ডো আসবে। এবার Explorer/systray ছাড়া তালিকা থেকে যেকোনো একটি প্রোগ্রাম নির্বাচন করে End Task বাটনে ক্লিক করতে হবে। এ প্রক্রিয়াটি বারবার করতে থাকতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না Explorer ও systray ছাড়া অন্য সবকিছু চলে যায়।
উইন্ডোজ ২০০০ ও এক্সপি থেকে টিএসআর অপসারণ: Alt+ctrl+del একসঙ্গে চেপে ধরতে হবে। এরপর Task Manager-এ ক্লিক করতে হবে। Task Manager-এর Application ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এবার যে প্রোগ্রাম বন্ধ করতে চান, তা সিলেক্ট করে End Task-এ ক্লিক করতে হবে।

হার্ডডিস্ক ড্রাইভ উইন্ডোর পটভূমি বদলে নিন

চাইলে আপনার হার্ডডিস্কের প্রতিটি ড্রাইভ যে উইন্ডো বা বক্সে খোলে, তার পটভূমিতে পরিবর্তন আনতে পারেন। এ জন্য আপনাকে প্রথমেই নোটপ্যাডে ছোট একটি প্রোগ্রাম লিখতে হবে।
নোটপ্যাডে যা লিখতে হবে—
[ExtShellFolderViews]
{BE098140-A513-11D0-A3A4-00C04FD706EC}={BE098140-A513-11D0-A3A4-00C04FD706EC}
[{BE098140-A513-11D0-A3A4-00C04FD706EC}]
Attributes=1
IconArea^Image=Folder name\pic.jpg
এবার একে desktop.ini নামে ডেস্কটপেই সেভ করুন। এখানে লক্ষ করলে দেখা যাবে, IconArea^Image=Folder name\pic.jpg নামের একটি ফাইল আছে। এখানে Folder name নামের ফোল্ডারটিতে যে ছবিগুলো রাখবেন তাই পটভূমি হিসেবে কাজ ৭৬৮ পিক্সেলকরবে। পটভূমিতে যে ছবিটি আনতে চান সেটি *.jpg ফরম্যাটে ১০২৪ আকারে হলে ভালো হয়। আপনার কম্পিউটার মনিটরের রেজ্যুলেশন অনুযায়ীও ছবির আকার হতে পারে। মনিটরের রেজ্যুলেশন কত আছে তা দেখার জন্য ডেস্কটপে মাউসের ডান ক্লিক করে Properties\settings-এ যেতে হবে। ছবিটি pic.jpg নামে Folder name ফোল্ডারে সেভ করুন। যেসব ড্রাইভের পটভূমি পরিবর্তন করতে চান Folder name ফোল্ডা এবং desktop.ini ফাইলটি সেসব ড্রাইভে রেখে Refresh করলেই ছবিটি পটভূমিতে দেখা

মুছে ফেলুন অপ্রয়োজনীয় ফাইল

কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় Prefetch ফাইল কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। সাধারণত Start/Run-এ গিয়ে prefetch লিখে এই ফাইলগুলো মুছে ফেলা যায় (ডিলিট)। ইচ্ছে করলে এই ফাইলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলা যাবে। এ জন্য প্রথমে My computer থেকে আপনার হার্ডডিস্ক ড্রাইভে যান। এখানে কোনো ফাঁকা জায়গায় ডান ক্লিক করে New থেকে Text document-এ যান এবং এটি deleteprefetch নামে সেভ করুন। এবার দুই ক্লিক করে এই ফাইলে প্রবেশ করুন এবং লিখুন del C:\Windows\Prefetch\*.* /Q। এখন File/Save as থেকে All files নির্বাচিত করুন।এবার deleteprefetch.bat নামে এটি সংরক্ষণ (সেভ) করুন। লক্ষ করে দেখুন একটি ব্যাচ ফাইল তৈরি হয়েছে। এবার ব্যাচ ফাইলে দুই ক্লিক করলেই ফাইলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে।

সিডি বা ডিভিডি না বের হলে হলে কী করবেন

অনেক সময় দেখা যায় কম্পিউটারের সিডি বা ডিভিডি-রম ড্রাইভ থেকে সিডি বা ডিভিডি বের হয় না। আবার বিদ্যুত্ চলে গেলেও সিডি বা ডিভিডি রমে সিডি বা ডিভিডি আটকে যায়। এ অবস্থায় সিডি বা ডিভিডি বের করতে হলে একটি জেমস ক্লিপ বা মাঝারি সাইজের সুঁই বা পিনের প্রয়োজন হবে। তবে এ ক্ষেত্রে জেমস ক্লিপ ব্যবহার করা ভালো। প্রথমে জেমস ক্লিপটি সোজা করে নিন। এখন সিডি বা ডিভিডি-রম ড্রাইভের দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে যে একটি ছোট ছিদ্র রয়েছে। এই ছিদ্রটি একেক ড্রাইভে একেক জায়গায় থাকে। এবার ক্লিপটি ওই ছিদ্রে ঢুকিয়ে একটু একটু করে চাপ দিতে হবে। চাপ দিলে ড্রাইভের প্লেটটি কিছুটা বেরিয়ে আসবে। এবার সিডি ট্রেটিকে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে টেনে বের করুন এবং ট্রে থেকে সিডি বা ডিভিডিটি বের করে নিন।
সিডি বা ডিভিডিটি বের করা হলে ট্রেটি ধীরে ধীরে ভেতরে ঠেলে দিন। তবে সতর্কতার বিষয় এই যে, সিডি বা ডিভিডি পড়তে ড্রাইভ যদি অনেকক্ষণ সময় নেয়, তাহলে এ উপায়ে সিডি বা ডিভিডি বের করবন না। এ ক্ষেত্রে সিডি বা ডিভিডি বের করতে চাইলে ইজেক্ট বেতামটি চাপ দিন কিংবা কম্পিউটারটিকে রিস্টার্ট করে সিডি বা ডিভিডি বের করুন।

টাস্ক ম্যানেজার সক্রিয় করুন

কম্পিউটারে ভাইরাসের কারণে অনেক সময় টাস্ক ম্যানেজার নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তখন টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করা যায় না এবং ওপেন করতে গেলে Task Manager has been disable by your administrator লেখা মেসেজ আসে। এমন হলে start/all programmes/accessories-এ গিয়ে নোটপ্যাড খুলুন। নিচের কোডটি নোটপ্যাডে হুবহু লিখুন—
Windows Registry Editor Version 5.00
[HKEY_CURRENT_USER\Software\Microsoft\Windows\CurrentVersion\Policies\System]
“DisableTaskMgr”=dword:00000000
এখন file/save as-এ গিয়ে TMEnabled.reg নামে নোটপ্যাডটি সেভ করুন। লক্ষ করুন, TMEnabled.reg নামে একটি আলাদা ফাইল তৈরি হয়েছে। এখন এই ফাইলটি ওপেন করলেই টাস্ক ম্যানেজার সক্রিয় হবে। এ ছাড়া start/run-এ গিয়ে REG add HKCU\Software\Microsoft\Windows\CurrentVersion\Policies\System /v DisableTaskMgr /t REG_DWORD /d 0 / লিখে enter চেপে টাস্ক ম্যানেজার সক্রিয় করতে পারেন।

অনলাইনে ছবিকে লেখার ফাইলে রূপান্তর

বই বা অন্য কোনো উত্স থেকে স্ক্যান করা লেখার পাতা বা লেখার স্ক্রিনশট ফাইলকে সম্পাদনাযোগ্য লেখার (টেক্সট) ফাইলে রূপান্তর করা যায় ওসিআর (অপটিক্যাল ক্যারেকটার রিকগনিশন) সফটওয়্যার দিয়ে। এ কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু সফটওয়্যার ছাড়াও গুগল ডক্সের মাধ্যমে ইন্টারনেটে এ ধরনের ইমেজ ফাইলকে সম্পাদনার উপযোগী টেক্সট ফাইলে রূপান্তর করে গুগল ডক্সে ব্যবহার করা যায়। এ জন্য http://googlecodesamples.com/docs/php/ocr.php সাইটে গিয়ে সাইন ইন করে Grant access বাটনে ক্লিক করুন। এবার Browse বাটনে ক্লিক করে ফাইলটি নির্বাচন করে Start OCR import বাটনে ক্লিক করুন, তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে এটি গুগল ডক্সে সম্পাদনের উপযোগী হয়ে আসবে। এখান থেকে অনলাইনে সেভ করা বা হার্ডডিক্সে সেভ করা যাবে বিভিন্ন ফরম্যাটে। ইমেজ ফাইল হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ মেগাবাইটের এবং ২৫ মেগাপিক্সেলের .jpg, .png, বা .gif ফরম্যাটের ফাইল ব্যবহার করা যাবে।
তবে কম রেজুলেশনের ফাইল আপলোড করলে টেক্সটে রূপান্তর না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ইমেজ ফাইলটির রেজুলেশন বাড়িয়ে নেওয়া ভাল।

মজিলার জন্য বাংলা বানান পরীক্ষক

ইন্টারনেটে বাংলা (ইউনিকোড) ওয়েবসাইটের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। জনপ্রিয় হচ্ছে আমাদের মাতৃভাষার ব্যবহার আর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বাংলাতে ই-মেইল, পোস্ট, নিবন্ধ, ব্লগিং, মন্তব্য প্রভৃতি করা। কিন্তু বাংলা বানান পরীক্ষক (স্পেল চেকার) না থাকায় মাঝেমধ্যে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর হচ্ছে সম্প্রতি বাংলা স্পেল চেকিং ডিকশনারি অ্যাড-অন্স পরীক্ষামূলকভাবে অবমুক্ত করা হয়েছে। ফলে মজিলা ফায়ারফক্সে বাংলা লিখতে ভুল করলে সেটি যেমন বোঝা যাবে, তেমনই তা সংশোধন করা যাবে।
মাত্র ৩৫৫ কিলোবাইটের এই অ্যাড-অন্সটি https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/ 13660 থেকে ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করে নিন। এটি ফায়ারফক্সের প্রায় সব সংস্করণের পাশাপাশি মজিলা থান্ডারবার্ড এবং সিমানকিতেও ইনস্টল করা যাবে।
সাধারণত ইংরেজি ভাষাকে স্পেল চেকার হিসেবে ডিফল্ট করা থাকে। বাংলা ভাষাকে ডিফল্ট করতে যেকোনো ইনপুট বক্সে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Language থেকে Bangla/Bangladesh নির্বাচন করুন। এবার যেকোনো ইনপুট বক্সে বাংলা লিখে দেখুন ভুল বানানের নিচে লাল আন্ডারলাইন এসেছে। বানানটি সংশোধন করতে শব্দটির ওপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করলে ওপর কিছু বানানের সাজেশন দেবে পছন্দের শব্দটিতে ক্লিক করলেই হবে।
আর যদি ইংরেজি ভাষাকে আবার স্পেল চেকার হিসেবে ডিফল্ট করতে চান, তাহলে যেকোনো ইনপুট বক্সে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Language থেকে English/United States নির্বাচন করুন।
এই অ্যাড-অন্সটি এখনো পরীক্ষামূলক হিসেবে রয়েছে। রিডিভ প্রক্রিয়ার পর মজিলা কর্তৃপক্ষ অ্যাড-অন্সটিকে পাবলিক করবে। তাই ব্যবহারকারীদের রিভিউ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অ্যাড-অন্সটি তৈরি করেছে www.ankur.org.bd।

ভিএলসি প্লেয়ার দিয়ে চলবে চার হাজার রেডিও

গান শোনা ও ভিডিও দেখার মুক্ত সফটওয়্যার ভিএলসি এখন বেশ জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার।উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, লিনাক্স, বিএসডি, সোলারিসসহ প্রায় সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে চলেএটি। আবার কোনো অপারেটিং সিস্টেমের উপযোগী ভিএলসি না পাওয়া গেলে এর প্রোগ্রামিং সংকেত (সোর্সকোড) থেকেও এটি ব্যবহার করা যাবে।সব ধরনের মিডিয়া ফাইল অর্থাত্ অডিও এবং ভিডিও ফাইল চালানো সম্ভব এই একটি মাত্র মিডিয়া প্লেয়ারে। অন্য কোনো সফটওয়্যার বা কোডেক ছাড়াই এটি নিজেস্ব কোডবেজ থেকেই চালাতে পারে সফটওয়্যারটি। ডেস্কটপ কম্পিউটারে ইনস্টল করে তো বটেই, এর বহনযোগ্য সংস্করণ পাওয়া যায় কম্পিউটারে ইনস্টল না করেই পেনড্রাইভ থেকে চালানো যায়।
প্রতিনিয়ত এই সফটওয়্যার হালনাগাদ করা হচ্ছে, সেই সঙ্গে চলছে নতুন নতুন সুবিধা যোগ করার কাজ। ভিএলসি প্লেয়ারের ১.০.০ সংস্করণে নতুন সুবিধাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অনলাইন রেডিও। এতে চার হাজারেরও বেশি অনলাইন রেডিও শোনা যায়।অনলাইন রেডিও চালানোর অন্য অনেক সফটওয়্যার থেকে এর সুবিধা হলো, এটি সব অপারেটিং সিস্টেমে চলে।তাই একই সফটওয়্যার ইন্টারফেস ব্যবহার করা যাবে সবগুলো অপারেটিং সিস্টেমে। তবে এ জন্য অপশন ব্যবহার করতে হবে।
ভিএলসি প্লেয়ারের নতুন সংস্করণটি ইনস্টলের পর এটি চালু করুন। এবার Media\Services Discovery মেনু থেকে Shoutcast radio listings-এর পাশে টিক চিহ্ন দিন।
এরপর View\Playlist নির্বাচন করলে নতুন একটি উইন্ডো আসবে এবং সেখানে বাঁ পাশের প্যানেল থেকে Shoutcast radio listings নির্বাচন করুন। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের গানের একটি তালিকা দেখা যাবে। সেখান থেকে যে বিভাগ নির্বাচন করা হবে, সেই ধরনের রেডিও স্টেশনের নাম দেখা যাবে।
শুধু মিডিয়া প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়াও এটি মিডিয়া কনভার্টার, আইপি ৪ এবং ৬ নেটওয়ার্কের সার্ভারে মিডিয়া ফাইল স্ট্রিমের কাজেও ব্যবহার করা যায়। ভিএলসির সর্বশেষ সংস্করণটি পাওয়া যাবে www.videolan.org ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে।

ভিডিও ফাইলের আকার কমিয়ে নিন

আজকাল অনেক ওয়েবসাইটে বাংলা নাটকের ভিডিও পাওয়া যায়। সাধারণত এসব ফাইল *.wmv ফরম্যাটের হয়ে থাকে। আর এসব সংকোচন (কমপ্রেস) করা থাকে। কিছু কিছু ভিডিওর গ্রাফিকসের মান থাকে খুবই নিম্নমানের, যেগুলো দেখতে বেশি মেমোরির গ্রাফিকস কার্ডের প্রয়োজন হয়। আবার কিছু কিছু ফাইলের আকার এত বেশিথাকে যে, এসব নামাতে (ডাউনলোড) অনেক সময় লাগে।
চাইলে উইন্ডোজ মুভি মেকার সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভিডিও ফাইলের আকার কমাতে পারেন।এতে গ্রাফিকসের মানও ততটা খারাপ হবে না। এ জন্য প্রথমে মাই কম্পিউটার খুলে Tools\Folder Options\View-এ ক্লিক করে Hide extensions for known file types বক্স থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে OK করুন। এখন যে ফাইলটির আকার কমাবেন সেটির ফাইল সিস্টেম যদি .dat হয় তাহলে Rename করে .dat-এর পরিবর্তে .mpg লিখুন এবং এন্টার করুন।
এখন Start\All Programs-এ গিয়ে Windows Movie maker চালু করুন। তারপর Import video-এ ক্লিক করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে সেটির নিচে create clips for video files বক্স থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিন। যে ফাইলটির আকার কমাতে চান সেটি নির্বাচন করে Import-এ ক্লিক করুন। এখন ফাইলটিতে মাউস রেখে ডান ক্লিক করে Add to Storyboard-এ ক্লিক করুন। এবার File থেকে Save Movie File-এ ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো আসলে Next-এ ক্লিক করুন। তারপর আবার Next-এ ক্লিক করুন। এখন Show more choices-এ ক্লিক করে other settings থেকে video for broadband (150 kbps) নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। এখন My Documents থেকে My Videos-এ গিয়ে দেখবেন ভিডিও ফাইলের আকার দশ ভাগের এক ভাগ হয়ে গেছে।

টুইট দিয়ে তৈরি করুন টুইটবুক

জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং টুইটারে যাঁরা তাত্ক্ষণিক বার্তা (স্ট্যাটাস) দেন তাঁরা ইচ্ছে করলেই সহজেই টুইটারের সব তাত্ক্ষণিক বার্তাগুলোকে পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট (পিডিএফ) হিসাবে টুইট বই বানাতে পারেন। এই ই-বুক টুইটার ব্যবহারকারীর সব টুইট বছর, মাস ও তারিখের ক্রমবিন্যাস হিসেবে প্রকাশিত হবে। টুইট বই তৈরির জন্য www.tweetbook.in সাইটে গিয়ে Sign in with Twitter বাটনে ক্লিক করে টুইটারের ব্যবহারকারী নাম এবং গোপন সাংকেতিক নম্বর (পাসওয়ার্ড) দিয়ে Allow বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে টুইটার ব্যবহারকারী কিছুক্ষণের মধ্যে মূল সাইটে ফিরে আসবেন।
এবার Generate PDF বাটনে ক্লিক করলে কিছুক্ষণের মধ্যে পিডিএফ ফাইল তৈরি হবে এবং Download PDF লিংক আসবে। এই পিডিএফ ই-বুকটি নামিয়ে নিন (ডাউনলোড)। আর পিডিএফ ফাইলটি টুইটারে শেয়ার করতে চাইলে Share! ট্যাবে গিয়ে Share Tweet PDF file! বাটনে ক্লিক করলে একটি লিংক তৈরি হবে। এর ডানে Tweet it! বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে টুইটারে চলে আসবেন। এখানে update বাটনে ক্লিক করলে আপডেট হবে।

ড্রাইভ ও ফোল্ডারের নিরাপত্তা

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটারে ফাইল, ফোল্ডার বা ড্রাইভের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো যায়। এ জন্য যে ফোল্ডার বা ড্রাইভের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়াতে হবে।এ জন্য নির্দিষ্ট ফোল্ডার বা ড্রাইভের ওপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করুন।Properties হয়ে Security ট্যাবে যান। সিকিউরিটি ট্যাব না থাকলে Control Panel থেকে Folder Options চালু করুন। এখানে View ট্যাবে গিয়ে Advanced Settings-এর Use simple file sharing... টিক চিহ্ন তুলেদিয়ে OK করুন। এবার Advanced বাটনে ক্লিক করলে Advanced Security Settings for FOLDER NAME আসবে। এখানে Permission ট্যাবের Permission entries-এ যে গ্রুপ বা ব্যবহারকারীকে আপনি ফোল্ডার বা ড্রাইভটির দেখা বা মুছে ফেলা বা অন্যান্য সুবিধা দিতে চান না, সেটি নির্বাচন করে Edit বাটনে ক্লিক করুন। (Permission entries-এ যদি কোনো ব্যবহারকারীর নাম না থাকে, তাহলে Add বাটনে ক্লিক করে Advanced বাটনে এবং Find Now বাটনে ক্লিক করে ব্যবহারকারী নির্বাচন করে OK এবং OK করুন।) এখন যে যে বিষয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চান, সেগুলো Deny-তে টিকচিহ্ন দিন এবং OK করুন।
তাহলে ওই ব্যবহারকারী বা গ্রুপের ব্যবহারকারীরা নিয়ন্ত্রণ আরোপ বিষয়গুলোর সুবিধা পাবে না। আপনি যদি Full Control চেক করেন, তাহলে ড্রাইভ অথবা ফোল্ডারটি পড়তেই পারবে না। তবে যে ড্রাইভ বা ড্রাইভের ফোল্ডার নিয়ন্ত্রণ করতে চান, সেটি অবশ্যই এনটিএফএস ফরম্যাটের হতে হবে।

কম্পিউটারে লুকানো ফাইল দেখুন

কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো নষ্ট করে দেয়। তবে আক্রান্ত হলে শুরুতেই কম্পিউটারের ফোল্ডার অপশনের লুকানো (হিডেন) ফাইল দেখার অপশনটি বন্ধ করে দেয়। ফলে লুকিয়ে রাখা অনেক প্রয়োজনীয় ফাইল দেখা যায় না। এ জন্য Start মেনু থেকে Run-এ গিয়ে regedit লিখে Enter দিন। এবার HKEK_CURRENT_USER\ Software\Microsoft\ Windows\Current version\Explorer\advanced\Hidden ফাইলটিতে দুবার ক্লিক করুন এবং value data এর বক্সে 1 লিখে ok করে বের হয়ে আসুন।

ফটোশপে সাদাকালো ছবি রঙিন করুন

অ্যাডবি ফটোশপ দিয়ে ইচ্ছে করলে যেকোনো সাদাকালো ছবি রঙিন করা যায়। এ জন্য যে ছবিটি রঙিন করবেন প্রথমে তা ফটোশপের মাধ্যমে খুলুন। এবার Image/Mode থেকে CMYK Colour নির্বাচিত করুন। এখন Q চেপে quick mask মুড সক্রিয় করুন। এবার ব্রাশ টুল থেকে ব্রাশ নিন এবং ছবির যে অংশটুকু রঙিন করতে চান সেটুকু সতর্কতার সঙ্গে পেইন্ট করুন। সবার আগে ত্বকের অংশ দিয়ে শুরু করুন। ব্রাশের কাজ শেষ হলে Q চেপে নরমাল মুডে ফিরে আসুন। খেয়াল করুন ছবিটিতে সিলেকশন তৈরি হয়েছে।
এবার Select/Inverse-এ Ctrl+Shift+I ক্লিক করুন। এবার Layer থেকে New Adjustment Layer-এ যান। Colourize-এ টিক চিহ্ন দিন এবং এখানে Shadows, Midtones ও Highlights-এর স্লাইডার মুভ করতে থাকুন যতক্ষণ না মনের মতো রং পাচ্ছেন। আর একটু নিখুঁত করার জন্য Layer/New Adjustment Layer/Curves-এ যান এবং এখানে যে চেক বক্স আসবে তাতে একট নাম দেওয়ার জন্য ok করুন। এবার File/Save as-এ গিয়ে ছবিটি jpg ফরম্যাটে সংরক্ষণ (সেভ) করুন।

থান্ডারবার্ডে বাংলায় ই-মেইল

নিরাপদভাবে ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য জনপ্রিয় ই-মেইল সফটওয়্যার হচ্ছে থান্ডারবার্ড। মজিলা ফাউন্ডেশনের তৈরি জনপ্রিয় এই সফটওয়্যারের ৩.০ সংস্করণ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
মুক্ত এ সফটওয়্যারটি আগের সংস্করণের চেয়ে অনেক দ্রুত, ব্যবহারে সহজ ও নিরাপদ। ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও বেশি সুবিধা দিতে নতুন এ সংস্করণে যুক্ত হয়েছে ট্যাবভিত্তিক ই-মেইল খোঁজা, অ্যাডভান্স ই-মেইল খোঁজা এবং ফিল্টারিং, নতুন অ্যাড অন ম্যানেজার, বার্তা সংক্ষিপ্ত আকারে দেখাসহ বেশ কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে আগের সংস্করণের চেয়ে আরও বেশি উন্নত নিরাপত্তা এবং বিশেষ প্রতিরোধব্যবস্থা। ইংরেজির পাশাপাশি অংকুরের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ বাংলায় এ সংস্করণ পাওয়া যাচ্ছে।
এতে থান্ডারবার্ডের সব ধরনের সুবিধা বাংলায় পাওয়া যাবে। ৮.৪ মেগাবাইটের নতুন এ বাংলা সংস্করণটি www.mozillamessaging.com/bn-BD ঠিকানার সাইট থেকে বিনামূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) নেওয়া যাবে। সংস্করণটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা কিংবা পরামর্শের জন্য feedback@ankur.org.bd ঠিকানায় ই-মেইল করা যাবে।

ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাবেন যেভাবে

কম্পিউারে ভাইরাসের সংক্রমণ হলে কিছু বিষয় লক্ষ রাখলে কম্পিউটারে ভাইরাস আছে কি না তা জানা সম্ভব। যার মধ্যে রয়েছে কম্পিউটারে ভাইরাস থাকলে temp ফাইল মুছবে না। Add or remove programme অপশন থেকে কোনো প্রোগ্রাম বাদ দিতে চাইলে বাদ দেওয়া যাবে না, Ctrl+Alt+Delete চেপে বের করা টাস্ক ম্যানেজার খুলবে না, Tools/Folder Option থেকে কোনো হিডেন ফাইল প্রদর্শন করতে চাইলেও তা প্রদর্শিত হবে না, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের Registry Editor খুলবে না এবং কমান্ড অপশন কাজ করবে না। এগুলো পরীক্ষা করে জানা যাবে আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস আছে কি না।

রংধনুতে নানা তথ্য

ইন্টারনেটে আয়ের পদ্ধতি, বিনামূল্যে ওয়েবসাইট নাম (ডোমেইন) নিবন্ধন এবং ওয়েবসাইট প্রকাশের (হোস্টিং) বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে রংধনু নামের একটি ওয়েবসাইট (www.rongdhonu.latest-info.com)। এ সাইটে প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য, ওয়েবসাইটের ঠিকানা, অনলাইনে টিভি দেখাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে।

ফেইসবুকের ছবি রাখার প্রোগ্রাম

সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেইসবুকে ছবি রাখার জন্য বিশেষপ্রোগ্রাম (আপলোডার) তৈরি করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকলেও ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দিয়েছে।কার্যকর এ টুলের মাধ্যমে ছবি খুব সহজে ও দ্রুততার সঙ্গে ফেইসবুকে প্রকাশকরা ও রাখা যায়। আপলোডারটি www.facebook.com/apps/application.php?id=184826119663 ঠিকানা থেকে চালু করা যাবে।
এটি ব্যবহার করে খুব দ্রুত বড় আকারের ছবি আপলোড করা যাবে। অ্যাপলিকেশনটি ব্যবহার করার সময় কোনো সমস্যা হলে www.facebook.com/help/contact.php?show_form=new_photo_uploader ঠিকানার সাইটে জানানো যাবে।

উইন্ডোজ সিডি কি

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে সিডি কির (CD key) প্রয়োজন হয়। সাধারণত উইন্ডোজের সিডির প্যাকেটের গায়ে CD key লেখা থাকে। অনেক ক্ষেত্রে প্যাকেটটি হারিয়ে গেলে কিংবা নষ্ট হয়ে গেলে সিডি কির জন্য ওই সিডিটি কম্পিউটারে প্রবেশ করান। এবার CD থেকে browse করে খুঁজে I386 নামের ফোল্ডারটি বের করে খুলুন। এ ফোল্ডারের ভেতরে unattended.txt নামের একটি ফাইল রয়েছে। এবার notepad দিয়ে ফাইলটি খুলুন। এখানে CD key পেয়ে যাবেন।

উইন্ডোজ এক্সপিতে অ্যাডমিন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নামে একটি অ্যাকাউন্ট থাকে। এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে উইন্ডোজে সব ধরনের কাজ করা যায়। যেমন নতুন ব্যবহারকারী তৈরি, উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি সম্পাদনা পরিবর্তনের মতো ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত কাজ করা যায়। অন্যান্য ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট থেকে এ ধরনের কাজ করা যায়। কোনো কারণে এই ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্টের সাংকেতিক নম্বর (পাসওয়ার্ড) ভুলে গেলে অন্য কোনো ব্যবহারকারী এটি পরিবর্তন বা নতুন করে নির্ধারণ করতে পারে না। উইন্ডোজের ইনস্টলেশন সিডি ব্যবহার করে এই কাজ করা যায়। এই পদ্ধতিতে কাজ করার আগে শুরুতে কম্পিউটার চালুর উত্স হিসেবে সিডি-রম বা ডিভিডি-রম ড্রাইভ নির্বাচন করা থাকতে হবে। এবার সিডি-রম ড্রাইভে উইন্ডোজ এক্সপির সিডি প্রবেশ করিয়ে কম্পিউটার পুনরায় চালু করতে হবে।
কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় Press any key to Boot from CD or DVD বার্তা দেখালে কি-বোর্ড থেকে যেকোনো বোতাম চাপুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যাবে উইন্ডোজে নতুন করে ইনস্টল বা রিপেয়ারের অপশন দেখা যাবে। তখন এন্টার করুন।এর পরই উইন্ডোজ এক্সপি লাইসেন্স এগ্রিমেন্টে সম্মতি দিতে F8 চাপুন। নতুন ইনস্টলেশন বা রিপেয়ার শুরু করার আগে এবার পুনরায় জিজ্ঞসা করা হবে। এ পর্যায়ে রিপেয়ারের জন্য R চাপতে হবে। রিপেয়ার কোন পর্যায়ে রয়েছে এটি বাম পাশের প্যানেল থেকে দেখা যাবে। Installing Windows পর্যায়টি চলার সময় Shift+F10 চেপে ডস চালু করতে হবে। ডসে এসে NUSRM-এ R.CPL লিখলে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের তথ্য পরিবর্তন করা যাবে। এ তালিকা থেকে administrator-এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন বা মুছে ফেলা যাবে। এমনকি এখন থেকে নতুন ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট তৈরিরও অপশন পাওয়া যাবে। রিপেয়ারের বাকি অংশ সম্পন্ন হওয়ার পর নতুন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে উইন্ডোজে ঢোকা (লগ-ইন) যাবে। —

সিডি বা ডিভিডি না বের হলে হলে কী করবেন

অনেক সময় দেখা যায় কম্পিউটারের সিডি বা ডিভিডি-রম ড্রাইভ থেকে সিডি বা ডিভিডি বের হয় না। আবার বিদ্যুত্ চলে গেলেও সিডি বা ডিভিডি রমে সিডি বা ডিভিডি আটকে যায়। এ অবস্থায় সিডি বা ডিভিডি বের করতে হলে একটি জেমস ক্লিপ বা মাঝারি সাইজের সুঁই বা পিনের প্রয়োজন হবে। তবে এ ক্ষেত্রে জেমস ক্লিপ ব্যবহার করা ভালো। প্রথমে জেমস ক্লিপটি সোজা করে নিন। এখন সিডি বা ডিভিডি-রম ড্রাইভের দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে যে একটি ছোট ছিদ্র রয়েছে। এই ছিদ্রটি একেক ড্রাইভে একেক জায়গায় থাকে। এবার ক্লিপটি ওই ছিদ্রে ঢুকিয়ে একটু একটু করে চাপ দিতে হবে। চাপ দিলে ড্রাইভের প্লেটটি কিছুটা বেরিয়ে আসবে। এবার সিডি ট্রেটিকে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে টেনে বের করুন এবং ট্রে থেকে সিডি বা ডিভিডিটি বের করে নিন।
সিডি বা ডিভিডিটি বের করা হলে ট্রেটি ধীরে ধীরে ভেতরে ঠেলে দিন। তবে সতর্কতার বিষয় এই যে, সিডি বা ডিভিডি পড়তে ড্রাইভ যদি অনেকক্ষণ সময় নেয়, তাহলে এ উপায়ে সিডি বা ডিভিডি বের করবন না। এ ক্ষেত্রে সিডি বা ডিভিডি বের করতে চাইলে ইজেক্ট বেতামটি চাপ দিন কিংবা কম্পিউটারটিকে রিস্টার্ট করে সিডি বা ডিভিডি বের করুন।

মুছে ফেলুন অপ্রয়োজনীয় ফাইল

কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় Prefetch ফাইল কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। সাধারণত Start/Run-এ গিয়ে prefetch লিখে এই ফাইলগুলো মুছে ফেলা যায় (ডিলিট)। ইচ্ছে করলে এই ফাইলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলা যাবে। এ জন্য প্রথমে My computer থেকে আপনার হার্ডডিস্ক ড্রাইভে যান। এখানে কোনো ফাঁকা জায়গায় ডান ক্লিক করে New থেকে Text document-এ যান এবং এটি deleteprefetch নামে সেভ করুন। এবার দুই ক্লিক করে এই ফাইলে প্রবেশ করুন এবং লিখুন del C:\Windows\Prefetch\*.* /Q। এখন File/Save as থেকে All files নির্বাচিত করুন।এবার deleteprefetch.bat নামে এটি সংরক্ষণ (সেভ) করুন। লক্ষ করে দেখুন একটি ব্যাচ ফাইল তৈরি হয়েছে। এবার ব্যাচ ফাইলে দুই ক্লিক করলেই ফাইলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে।

সহজেই এক ফাইলে একাধিক ফন্ট

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কোনো ফাইল তৈরি করতে গিয়ে একই ফাইলে একাধিক ফন্ট ব্যবহার করার দরকার হতে পারে। যেমন: বাংলা ফন্ট ‘সুতন্নি এমজে’ বা ইংরেজি ফন্ট ‘টাইমস নিউ রোমান’। এভাবে একটি বড় ফাইলে বারবার ফন্ট নির্বাচন করা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ এবং বিরক্তিকর ব্যাপার। কাজেই যেসব ফন্ট বারবার দরকার হবে, সেগুলোর শর্টকাট যদি টুলবারে আগে থেকে রেখে দেওয়া যায়, তাহলে খুব কম সময়ে বিভিন্ন ফন্ট ব্যবহার করে ডকুমেন্ট তৈরি করা যাবে।
এর জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড খুলে মেনুবার বা টুলবারের ওপর কার্সর রেখে ডান ক্লিক করে ‘customize’-এ যান।এর পর কাস্টমাইজ উইন্ডোতে ‘commands’ ট্যাবে ক্লিক করলে categories এবং commands নামের পাশাপাশি দুটি বক্স দেখা যাবে। categories বক্স থেকে ফন্ট নির্ধারণ করলে ‘কমান্ডস’ বক্সে সব ফন্ট দেখা যাবে। যেকোনো ফন্টকে টেনে এনে মেনুবার বা টুলবারের ওপর যেকোনো জায়গায় ছেড়ে দিন (ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ)। এভাবে যতগুলো ফন্ট দরকার টেনে আনুন।মেনুবার বা টুলবারের ওপর ফন্টের নাম দেখা যাবে। এরপর প্রয়োজনমতো যেকোনো ফন্টের ওপর ক্লিক করে বাংলা বা ইংরেজি কিবোর্ড নির্বাচন করে কাজ করতে পারবেন।

টিপস

গুগলের পটভূমিতে পছন্দের ছবি
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সাইটে ঢুকলে বা সার্চ করলে যদি পটভূমিতে পছন্দের ছবি দেখা যায়, তাহলে কেমন হয়! ফায়ারফক্স ওয়েব ব্রাউজারে অ্যাড-অন্সের সাহায্যে এই মজাটুক করা যায়। এ জন্য ২.৯ মেগাবাইটের অ্যাড-অন্সটি https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/10443 থেকে ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন। এবার ফায়ারফক্সের স্ট্যাটাসবারের ডানে Change your Google Background আইকনে ক্লিক করে Google Background Changer উইন্ডো থেকে Image Location-এ ছবির ঠিকানা নির্বাচন করে Ok করুন। এবার গুগলের সাইটে ভিজিট করে দেখুন পটভূমিতে সদ্য সেট করা ছবিটি দেখা যাচ্ছে। আর সার্চের ফলাফলের পটভূমিতে যদি ছবিটি দেখতে চান, তাহলে Show Image in results page এ চেক করতে হবে। এ ছাড়া Google Text-এ যা লিখবেন না, তা গুগলের মূল লোগো পরিবর্তে দেখা যাবে।

হার্ডডিস্ক ড্রাইভ উইন্ডোর পটভূমি বদলে নিন

চাইলে আপনার হার্ডডিস্কের প্রতিটি ড্রাইভ যে উইন্ডো বা বক্সে খোলে, তার পটভূমিতে পরিবর্তন আনতে পারেন। এ জন্য আপনাকে প্রথমেই নোটপ্যাডে ছোট একটি প্রোগ্রাম লিখতে হবে।
নোটপ্যাডে যা লিখতে হবে—
[ExtShellFolderViews]
{BE098140-A513-11D0-A3A4-00C04FD706EC}={BE098140-A513-11D0-A3A4-00C04FD706EC}
[{BE098140-A513-11D0-A3A4-00C04FD706EC}]
Attributes=1
IconArea^Image=Folder name\pic.jpg
এবার একে desktop.ini নামে ডেস্কটপেই সেভ করুন। এখানে লক্ষ করলে দেখা যাবে, IconArea^Image=Folder name\pic.jpg নামের একটি ফাইল আছে। এখানে Folder name নামের ফোল্ডারটিতে যে ছবিগুলো রাখবেন তাই পটভূমি হিসেবে কাজ ৭৬৮ পিক্সেলকরবে। পটভূমিতে যে ছবিটি আনতে চান সেটি *.jpg ফরম্যাটে ১০২৪ আকারে হলে ভালো হয়। আপনার কম্পিউটার মনিটরের রেজ্যুলেশন অনুযায়ীও ছবির আকার হতে পারে। মনিটরের রেজ্যুলেশন কত আছে তা দেখার জন্য ডেস্কটপে মাউসের ডান ক্লিক করে Properties\settings-এ যেতে হবে। ছবিটি pic.jpg নামে Folder name ফোল্ডারে সেভ করুন। যেসব ড্রাইভের পটভূমি পরিবর্তন করতে চান Folder name ফোল্ডা এবং desktop.ini ফাইলটি সেসব ড্রাইভে রেখে Refresh করলেই ছবিটি পটভূমিতে দেখা

টিএসআর না থাকাই ভালো

কম্পিউটারে বিভিন্ন কারণে টিএসআর প্রোগ্রাম ব্যবহূত হয়ে থাকে। কম্পিউটারকে ভাইরাসমুক্ত রাখার জন্য যদি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল থাকে, তখন তা টিএসআর হিসেবেই থাকে। আবার কোনো কোনো ভাইরাস টিএসআর প্রোগ্রাম হিসেবে নিজেকে র্যামে রেখে দেয়।
টিএসআরকে সারাবেন কীভাবে: উইন্ডোজ ৯৫, ৯৮ ও এমই অপারেটিং সিস্টেমচালিত কম্পিউটার থেকে টিএসআরকে সরাতে Alt+Ctrl+Del এক সঙ্গে চেপে ধরতে হবে। Close Program উইন্ডো আসবে। এবার Explorer/systray ছাড়া তালিকা থেকে যেকোনো একটি প্রোগ্রাম নির্বাচন করে End Task বাটনে ক্লিক করতে হবে। এ প্রক্রিয়াটি বারবার করতে থাকতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না Explorer ও systray ছাড়া অন্য সবকিছু চলে যায়।
উইন্ডোজ ২০০০ ও এক্সপি থেকে টিএসআর অপসারণ: Alt+ctrl+del একসঙ্গে চেপে ধরতে হবে। এরপর Task Manager-এ ক্লিক করতে হবে। Task Manager-এর Application ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এবার যে প্রোগ্রাম বন্ধ করতে চান, তা সিলেক্ট করে End Task-এ ক্লিক করতে হবে।

মজিলার জন্য বাংলা বানান পরীক্ষক

ইন্টারনেটে বাংলা (ইউনিকোড) ওয়েবসাইটের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। জনপ্রিয় হচ্ছে আমাদের মাতৃভাষার ব্যবহার আর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বাংলাতে ই-মেইল, পোস্ট, নিবন্ধ, ব্লগিং, মন্তব্য প্রভৃতি করা। কিন্তু বাংলা বানান পরীক্ষক (স্পেল চেকার) না থাকায় মাঝেমধ্যে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর হচ্ছে সম্প্রতি বাংলা স্পেল চেকিং ডিকশনারি অ্যাড-অন্স পরীক্ষামূলকভাবে অবমুক্ত করা হয়েছে। ফলে মজিলা ফায়ারফক্সে বাংলা লিখতে ভুল করলে সেটি যেমন বোঝা যাবে, তেমনই তা সংশোধন করা যাবে।
মাত্র ৩৫৫ কিলোবাইটের এই অ্যাড-অন্সটি https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/ 13660 থেকে ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করে নিন। এটি ফায়ারফক্সের প্রায় সব সংস্করণের পাশাপাশি মজিলা থান্ডারবার্ড এবং সিমানকিতেও ইনস্টল করা যাবে।
সাধারণত ইংরেজি ভাষাকে স্পেল চেকার হিসেবে ডিফল্ট করা থাকে। বাংলা ভাষাকে ডিফল্ট করতে যেকোনো ইনপুট বক্সে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Language থেকে Bangla/Bangladesh নির্বাচন করুন। এবার যেকোনো ইনপুট বক্সে বাংলা লিখে দেখুন ভুল বানানের নিচে লাল আন্ডারলাইন এসেছে। বানানটি সংশোধন করতে শব্দটির ওপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করলে ওপর কিছু বানানের সাজেশন দেবে পছন্দের শব্দটিতে ক্লিক করলেই হবে।
আর যদি ইংরেজি ভাষাকে আবার স্পেল চেকার হিসেবে ডিফল্ট করতে চান, তাহলে যেকোনো ইনপুট বক্সে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Language থেকে English/United States নির্বাচন করুন।
এই অ্যাড-অন্সটি এখনো পরীক্ষামূলক হিসেবে রয়েছে। রিডিভ প্রক্রিয়ার পর মজিলা কর্তৃপক্ষ অ্যাড-অন্সটিকে পাবলিক করবে। তাই ব্যবহারকারীদের রিভিউ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অ্যাড-অন্সটি তৈরি করেছে www.ankur.org.bd।

অনলাইনে ছবিকে লেখার ফাইলে রূপান্তর

বই বা অন্য কোনো উত্স থেকে স্ক্যান করা লেখার পাতা বা লেখার স্ক্রিনশট ফাইলকে সম্পাদনাযোগ্য লেখার (টেক্সট) ফাইলে রূপান্তর করা যায় ওসিআর (অপটিক্যাল ক্যারেকটার রিকগনিশন) সফটওয়্যার দিয়ে। এ কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু সফটওয়্যার ছাড়াও গুগল ডক্সের মাধ্যমে ইন্টারনেটে এ ধরনের ইমেজ ফাইলকে সম্পাদনার উপযোগী টেক্সট ফাইলে রূপান্তর করে গুগল ডক্সে ব্যবহার করা যায়। এ জন্য http://googlecodesamples.com/docs/php/ocr.php সাইটে গিয়ে সাইন ইন করে Grant access বাটনে ক্লিক করুন। এবার Browse বাটনে ক্লিক করে ফাইলটি নির্বাচন করে Start OCR import বাটনে ক্লিক করুন, তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে এটি গুগল ডক্সে সম্পাদনের উপযোগী হয়ে আসবে। এখান থেকে অনলাইনে সেভ করা বা হার্ডডিক্সে সেভ করা যাবে বিভিন্ন ফরম্যাটে। ইমেজ ফাইল হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ মেগাবাইটের এবং ২৫ মেগাপিক্সেলের .jpg, .png, বা .gif ফরম্যাটের ফাইল ব্যবহার করা যাবে।
তবে কম রেজুলেশনের ফাইল আপলোড করলে টেক্সটে রূপান্তর না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ইমেজ ফাইলটির রেজুলেশন বাড়িয়ে নেওয়া ভাল।

ভিএলসি প্লেয়ার দিয়ে চলবে চার হাজার রেডিও

গান শোনা ও ভিডিও দেখার মুক্ত সফটওয়্যার ভিএলসি এখন বেশ জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার।উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, লিনাক্স, বিএসডি, সোলারিসসহ প্রায় সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে চলেএটি। আবার কোনো অপারেটিং সিস্টেমের উপযোগী ভিএলসি না পাওয়া গেলে এর প্রোগ্রামিং সংকেত (সোর্সকোড) থেকেও এটি ব্যবহার করা যাবে।সব ধরনের মিডিয়া ফাইল অর্থাত্ অডিও এবং ভিডিও ফাইল চালানো সম্ভব এই একটি মাত্র মিডিয়া প্লেয়ারে। অন্য কোনো সফটওয়্যার বা কোডেক ছাড়াই এটি নিজেস্ব কোডবেজ থেকেই চালাতে পারে সফটওয়্যারটি। ডেস্কটপ কম্পিউটারে ইনস্টল করে তো বটেই, এর বহনযোগ্য সংস্করণ পাওয়া যায় কম্পিউটারে ইনস্টল না করেই পেনড্রাইভ থেকে চালানো যায়।
প্রতিনিয়ত এই সফটওয়্যার হালনাগাদ করা হচ্ছে, সেই সঙ্গে চলছে নতুন নতুন সুবিধা যোগ করার কাজ। ভিএলসি প্লেয়ারের ১.০.০ সংস্করণে নতুন সুবিধাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অনলাইন রেডিও। এতে চার হাজারেরও বেশি অনলাইন রেডিও শোনা যায়।অনলাইন রেডিও চালানোর অন্য অনেক সফটওয়্যার থেকে এর সুবিধা হলো, এটি সব অপারেটিং সিস্টেমে চলে।তাই একই সফটওয়্যার ইন্টারফেস ব্যবহার করা যাবে সবগুলো অপারেটিং সিস্টেমে। তবে এ জন্য অপশন ব্যবহার করতে হবে।
ভিএলসি প্লেয়ারের নতুন সংস্করণটি ইনস্টলের পর এটি চালু করুন। এবার Media\Services Discovery মেনু থেকে Shoutcast radio listings-এর পাশে টিক চিহ্ন দিন।
এরপর View\Playlist নির্বাচন করলে নতুন একটি উইন্ডো আসবে এবং সেখানে বাঁ পাশের প্যানেল থেকে Shoutcast radio listings নির্বাচন করুন। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের গানের একটি তালিকা দেখা যাবে। সেখান থেকে যে বিভাগ নির্বাচন করা হবে, সেই ধরনের রেডিও স্টেশনের নাম দেখা যাবে।
শুধু মিডিয়া প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়াও এটি মিডিয়া কনভার্টার, আইপি ৪ এবং ৬ নেটওয়ার্কের সার্ভারে মিডিয়া ফাইল স্ট্রিমের কাজেও ব্যবহার করা যায়। ভিএলসির সর্বশেষ সংস্করণটি পাওয়া যাবে www.videolan.org ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে।

সংযুক্তি ছাড়াই ছবি পাঠান

বিনামূল্যে ই-মেইল সুবিধা প্রদানকারী জিমেইলে সাধারণত ছবি অথবা কোনো ফাইল পাঠাতে সংযুক্তি (অ্যাটাচ) করে পাঠাতে হয়। ইচ্ছে করলে পাঠানো মেইলের মাধ্যমে ছবি যোগ করে মেইল করা যায়। এ জন্য প্রথমে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টটি লগইন করে Settings থেকে Labs অপশনে ক্লিক করুন। এখান থেকে Inserting Images অপশন Enable করুন এবং সেটিংস সেভ করে বের হয়ে আসুুন। খেয়াল করুন, কম্পোজ বক্সে Inserting Images অপশনের আইকন চলে এসেছে। এই আইকনে ক্লিক করে পছন্দের কোনো ছবি বা ছবির ওয়েব লিংক লেখার মাঝখানে যোগ করতে পারবেন।

উইন্ডোজের সমস্যা হলে তার সমাধান

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ফাইল নষ্ট হলে বা পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা অন্য কোনো সমস্যা হলে নতুন করে ইনস্টল করতে হয়। সে ক্ষেত্রে তথ্য উদ্ধার করা বেশ ঝামেলার হয়। কিন্তু যদি হাতের কাছে স্পটমাউ পাওয়ার স্যুট ২০০৯-এর সিডি থাকে, তাহলে সহজেই এসব সমস্যার সমাধান করা যায়। এই সফটওয়্যার উইন্ডোজের সব সংস্করণেকাজ করবে। সফটওয়্যারটি নামানোর ১১টি ঠিকানা এবং আরও বিভিন্ন সফটওয়্যরের তথ্য পাওয়া যাবে http://takingsoftware.
blogspot.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে।

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-৮-এর প্রয়োজনীয় কিছু শর্টকাট

আইকনে মাউস ক্লিক না করে কিবোর্ডের বাটন চেপে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-৮-এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাজ করা যায়। এর জন্য নিম্নলিখিত শর্টকাট অবলম্বন করতে হয়। যেমন, Address Bar-এ যাওয়ার জন্য Alt+D দিতে হবে। সেখানে থেকে যদি সম্প্র্রতি ব্রাউজ করা কোনো ফাইল দেখার প্রয়োজন হয়, তাহলে Down Arrow চেপে প্রয়োজনীয় ফাইল খুঁজে Enter দিতে হবে। Search বক্সে যাওয়ার জন্য Ctrl+E চাপতে হবে। লেখা বড় করে দেখার জন্য Ctrl+; ছোট করে দেখার জন্য Ctrl- এবং পূর্বের অবস্থায় অর্থাত্ ১০০%-এ ফেরত আসার জন্য Ctrl+0 (শূন্য) চাপতে হবে। ব্রাউজ করা ওয়েবসাইট এক্সপ্লোরার থেকে মুছে ফেলার জন্য Ctrl+Shift+Delete; এবং ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার থেকে বের হওয়ার জন্য Alt+F4 চাপতে হবে।

ব্লগে যুক্ত করুন ফিড ফরম

আপনার ব্লগে যুক্ত করুন ফিড ফরম। এ রকম ফিড ফরম খুব সহজেই ব্যবহার করা যায় গুগলের ফিড বার্নার সেবার মাধ্যমে। এ জন্য www.feedburner.google.com-এ যান, অবশ্য এটি ফিড বার্নার ডট কম থেকেও করা যায়। এখানে সাইন-আপ করুন বা আপনার জি-মেইল অ্যাকাউন্ট থাকলে তা দিয়ে সাইন-ইন করতে পারেন। সাইন-ইনের পর যে পেইজটি প্রথমে আসবে, সেখানে আপনার ব্লগের ফিড ইউআরএল দিয়ে নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন। এরপর পরপর কয়েকটি পেইজ আসবে, প্রতিটিতেই নেক্সট বাটনে ক্লিক করে পরের পেইজে যান। এরপর তৃতীয় যে পেইজটি আসবে কয়েকটি ট্যাব-সমৃদ্ধ, তাতে পাবলিসাইজ ট্যাবে ক্লিক করুন। এই ট্যাব ওপেন হলে ই-মেইল সাবস্ক্রিপশনে ক্লিক করুন। এরপর অ্যাকটিভ বাটনে ক্লিক করে সেবাটি সক্রিয় করুন। তার পরে যে পেজটি আসবে, তাতে ভাষা ও ব্লগের ধরন সিলেক্ট করে সেভ করুন। সব শেষে ফরমের জন্য দেওয়া সংকেতটি আপনার ব্লগে কপি করে পেস্ট করুন। এটি মূলত ব্লগস্পটের জন্য, অন্যগুলোর জন্য শেষ দিকে কিছুটা ভিন্ন হবে।

ফেইসবুকের কাজ ডেস্কটপের প্রোগ্রাম থেকে

পুরোনো বন্ধুদের খুঁজে পাওয়া বা নতুন বন্ধু তৈরি করা, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, পছন্দ বা স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর ছবি বা ভিডিও অন্যদের দেখানোর মতো কাজগুলো সহজে করা যায় ফেইসবুকে।তাই তো দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগের এই ওয়েবসাইটটি। ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার দিয়ে ফেইসবুকে ছবি রাখা, নিজের তাত্ক্ষণিক অবস্থা (স্ট্যাটাস) হালনাগাদ করার মতো কাজ তো করাই যায়। আবার বিনামূল্যের কিছু প্রোগ্রাম দিয়েও এ কাজগুলো ডেস্কটপ থেকে সরাসরি করা যায়।
কিছু দিন আগে ফেইসবুকের জন্য এমনই একটি প্রোগ্রাম বা ডেস্কটপ ক্লায়েন্ট তৈরি করা হয়েছিল। অ্যাডবি এয়ার-ভিত্তিক এই প্রোগ্রামটির নাম ফেইসবুক ফর অ্যাডবি এয়ার।এটা পাওয়া যায় (www.facebook.com/apps/ application.php?v=wall&viewas=500808182&id=75647677556) ঠিকানার ওয়েবসাইটে।স্ট্যাটাস হালনাগাদ করা এবং বিভিন্ন নোটিফিকেশন দেখার মতো কাজগুলো করার জন্য এটি ব্যবহার করা যায়, তবে এখানে ওয়েবসাইটের অনেক অপশনই খুঁজে পাওয়া যায় না।
সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাডবি ফেইসবুকের জন্য ফটো আপলোডার নামে একটি ডেস্কটপ প্রোগ্রাম তৈরি করেছে। প্রোগ্রামটি নামাতে হয় www.adobe.com/cfusion/marketplace/ index.cfm?userid=&marketplaceid=1&&event=marketplace.offering&offeringid=16157। ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে।নামে ফটো আপলোডার হলেও ফেইসবুকের প্রায় সব বৈশিষ্ট্যই এখানে পাওয়া যাবে। যেমন: বন্ধুদের প্রোফাইল দেখা, সব ধরনের খবর (নিউজ ফিড) পাওয়া, স্ট্যাটাস হালানাগাদ দেখা সেখানে মন্তব্য করা বা বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করা ইত্যাদি। এই প্রোগ্রামটির চেহারাও ফেইসবুকের মতো।ফলে ফেইসবুকের বিভিন্ন কাজ করতে আপনার নতুন করে কিছু শিখতে হবে না। এটির সবচেয়ে ভালো দিকগুলোর একটি হলো ছবি ফেইসবুকে রাখার সুবিধা।যেকোনো ছবি এর অ্যাপলিকেশন উইন্ডোতে টেনে এনে ছেড়ে দিলেই সেটি ফেইসবুকে চলেযাবে।ছবি ছাড়াও ভিডিও প্রকাশকরার কাজটিও খুব ভালোভাবে করা যায় এখানে। সেই সঙ্গে নিজের বা বন্ধুদের রাখা ছবিগুলো দেখা যাবে সাধারণ স্লাইড শোর মতোই।
যেহেতু এটি অ্যাডবি এয়ার-ভিত্তিক একটি প্রোগ্রাম তাই এটি ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই আপনার কম্পিউটারে অ্যাডবি এয়ারের সাম্প্রতিকতম সংস্করণটি থাকতে হবে। অ্যাডবি এয়ার সংগ্রহ করা যাবে http://get.adobe.com/air ঠিকানার সাইট থেকে।

মোবাইলের তথ্য আইএমইআই নম্বরে

প্রতিটি মোবাইল ফোনের স্বতন্ত্র আইএমইআই (IMEI) নম্বর থাকে। এই আইএমইআই নম্বর দ্বারা জানা যায় মোবাইল কোন ব্র্যান্ডের, কোন মডেলের এবং কোথায় তৈরি হয়েছে।
আইএমইআই নম্বর জানা: মোবাইল ফোনে *#06# চাপলে ১৫-১৭ ডিজিটের সিরিয়াল নম্বর বা IMEI নম্বর আসবে। অথবা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি খুললে সেটের সঙ্গের স্টিকারে সিরিয়াল নম্বর বা IMEI নম্বর লেখা পাওয়া যাবে।
তথ্য জানা: বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য www.zalex.name থেকে Check IMEI সফটওয়্যার নামিয়ে নিয়ে ইনস্টল করে করে চালু করুন। এবার মোবাইল ফোন থেকে প্রাপ্ত ক্রমিক নম্বর বা IMEI নম্বরের প্রথম ৯টি সংখ্যা IMEI অংশে লিখে সার্চ করুন। তাহলে নিচে ব্র্যান্ড, কোন মডেল এবং কোথায় তৈরি, তার তথ্য আসবে।

অভিধানের দরজা

বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেকেই ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ খুঁজতে বাংলা অভিধান লাগেই।এরপর অভিধানের পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা খুঁজে বের করতে হয় কাঙ্ক্ষিত শব্দার্থটি। এ কাজটি বর্তমানে খুব সহজে ইন্টারনেটেই করা সম্ভব। ইন্টারনেটে চালু হওয়া বাংলা অভিধান দরজায় (www.doroja.com) কড়া নাড়লেই শব্দে অর্থ জানা যাবে।
‘ইন্টারনেটে সক্রিয় অভিধান’ স্লোগানে চালু হওয়া এ সাইটের মাধ্যমে ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থের পাশাপাশি ইংরেজি থেকে ইংরেজি শব্দের বিস্তারিত অর্থও জানা যাবে। বিশেষ করে, কোনো ইংরেজি সাইটে গিয়ে নির্ধারিত শব্দের অর্থ না পেলে খুঁজতে হয় অভিধান। এ সমস্যাটুকু খুব সহজে এ সাইটের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।
এ সাইটের মাধ্যমে যেকোনো ওয়েবসাইটে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত শব্দের ওপর দুই ক্লিক করলেই ওই শব্দের বাংলা অর্থ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া এ সাইটে রয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যমের লিংক।
বিনামূল্যে অনলাইন লাইব্রেরি লিংকের পাশাপাশি গ্রাহকদের জন্য রয়েছে ফোরাম সুবিধা।

এক্সপির অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম বাদ দিন

আমাদের অজান্তেই উইন্ডোজ এক্সপি তার নিজস্ব ব্যবস্থায় কিছু প্রোগ্রাম বা ফিচার চালু করে রাখে, যা অধিকাংশ ব্যবহারকারীর জন্যই অপ্রয়োজনীয়। এগুলো বাদ দিলে কম্পিউটারের গতি অনেকটাই বাড়ে। এসব বাদ দেওয়ার জন্য Start\Settings\Control Panel\Add or Remove Programes\Add/Remove Windows Components থেকে যেগুলো অপ্রয়োজনীয় মনে হয়—যেমন: উইন্ডোজ মেসেঞ্জার, গেম (Accessories and Utilities) প্রভৃতির টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিয়ে বাতিল করে দিতে পারেন।
স্বয়ংক্রিয় হালনাগাদ বাদ দেওয়া:
ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় আমাদের অজান্তেই অটো আপডেট সুবিধাটি উইন্ডোজের বিভিন্ন প্রোগ্রামকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ করতে থাকে। যার বেশির ভাগই অপ্রয়োজনীয় অথচ ইন্টারনেট ব্যবহারের গতি দখল করে থাকে। তাই এ অপশনটি বাদ দিতে হলে Start\Settings\Control Panel\Automatic Updates থেকে Turn Off Automatic Updates মার্ক করে OK দিয়ে বেরিয়ে আসুন। এর ফলে প্রতিবার উইন্ডোজ চালু হলে একটি সতর্কীকরণ বার্তা দেবে, যা দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

গুগলের ড্যাশবোর্ড

গুগল ওয়েবে তথ্য খোঁজা বা ই-মেইল করা ছাড়াও ব্লগ লেখা, সামাজিক যোগাযোগ, ওয়েব ফটো অ্যালবাম, অনলাইন অফিস স্যুটের মতো আরও বেশ কিছু সেবা দিয়ে থাকে। গুগলে অ্যাকাউন্ট আছে এমন যে কেউ এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
একজন ব্যবহারকারী গুগলের যে সুবিধা ব্যবহার করছেন সেসব একই স্থান থেকে পরিচালনার জন্য সম্প্রতি গুগল ড্যাশবোর্ড নামের একটি নিয়ন্ত্রণ সাইট তৈরি করেছে। www.google.com/dashboard ঠিকানার সাইটে প্রবেশ করলে গুগলের সেবাগুলোর তালিকা এবং এর প্রতিটি সেবার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পাওয়া যাবে। সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া আছে—এমন সেবাগুলোর পাশে নীল রঙের একটি আইকন দেওয়া থাকে। প্রতিটি সেবার নামের পাশে সেটিংস পরিবর্তন করার জন্যও ওয়েব সংযুক্তিও দেওয়া আছে। এ ছাড়া প্রতিটি সেবার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি দেখা বা পরিবর্তন করার সুবিধা পাওয়া যাবে এই পাতা থেকে। প্রাথমিকভাবে এই পাতায় গুগলের প্রায় ২০টি সেবার নাম থাকে। এই তালিকায় রয়েছে জিমেইল, গুগল ক্যালেন্ডার, গুগল ডক, ওয়েব হিস্ট্রি, অর্কুট, ইউটিউব, পিকাসা, গুগল রিডার ইত্যাদি।

অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম সরিয়ে ফেলুন

অনেক সময় কম্পিউটারে একসঙ্গে অনেকগুলো প্রোগ্রাম চালানো থাকে। এতে কম্পিউটারের গতি কমে যায়। আপনার কম্পিউটারে কী কী
প্রোগ্রাম চালু আছে
তা জানতে Start/Run এ গিয়ে cmd লিখে কমান্ড খুলুন এবং tasklist লিখে Enter চাপুন। যেসব প্রোগ্রাম কম্পিউটারে চালু আছে, তার তালিকা এখানে পেয়ে যাবেন।
এখান থেকে কোনো অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম বাদ দিতে চাইলে কমান্ড খুলে করুন এবং taskkill /im programname.exe/f লিখে Enter চাপুন। এখানে programname.exe এর জায়গায় শুধু ওই প্রোগ্রামটির নাম হুবহু লিখলে ওই প্রোগ্রামটি বাদ হয়ে যাবে।

বাড়িয়ে নিন পেনড্রাইভের জায়গা

সাধারণত পেনড্রাইভ এফএটি, এফএটি ৩২ ফাইল পদ্ধতিতে চলে, ফলে এখানে ফাইল সংকোচন করার কোনো সুবিধা পাওয়া যায় না। কিন্তু এনটিএফএস ফাইল পদ্ধতিতে সংকোচন করার সুবিধা রয়েছে। এনটিএফএস ফাইল পদ্ধতিতে পেনড্রাইভের মেমোরি অনেক সাশ্রয় হয়।
চাইলেপেনড্রাইভকে এফএটি বা এফএটি ৩২ থেকে এনটিএফএসে রূপান্তর করা যায়।এ জন্য উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের Start/Run-এ গিয়ে cmd লিখে কমান্ড খুলুন এবং convert X: /FS:NTFS লিখে এন্টার করুন।X-এর জায়গায় পেনড্রাইভ যে ড্রাইভে রয়েছে সেই অক্ষরটি হবে, যেমন L ড্রাইভে হলে হবে L লিখতে হবে। এবার My computer-এ গিয়ে পেনড্রাইভের আইকনে ডান ক্লিক করে Properties-এ যান। এখান থেকে Compress Drive to Save Disk Space অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে OK চাপুন।
এবার Apply To Sub Folders and Files অপশনে (যদি আসে) OK করে বের হয়ে আসুন। এখন পেনড্রাইভে কোনো ফাইল কপি করলে সেটা খুব বেশি জায়গা নেবে না, ফলে পেনড্রাইভের মেমোরি অনেক সাশ্রয় হবে।

ফটোশপে বানান পছন্দের আইকন

নানা প্রয়োজনেই বিভিন্ন প্রোগ্রামের আইকন বানানোর প্রয়োজন হতে পারে।ইচ্ছামতো আইকন বানাতে হলে বিভিন্ন সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে হয়। জনপ্রিয় ছবি সম্পাদনার সফটওয়্যার অ্যাডোবি ফটোশপ দিয়েও আপনি সুন্দর আইকন বানাতে পারেন।একটি বাড়তি প্রোগ্রাম (প্লাগ-ইন) দিয়ে ফটোশপ থেকেই আইকন বানিয়ে নিতে পারবেন।
এ জন্য আইসিও (উইন্ডোজ আইকন) ফরম্যাট নামের এই প্লাগ-ইনটি www.telegraphics.com.au/sw/ ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে (ডাউনলোড) আনজিপ করুন। এখন ICOFormat.8BI ফাইলটি কপি করে ফটোশপের প্লাগইন ফোল্ডারে থাকা File Formats (C:\Program Files\Adobe\Adobe Photoshop CS3\Plug-Ins\File Formats) ফোল্ডারে পেস্ট করুন। এবার ফটোশপ চালু করে যেকোনো ছবি পছন্দ করুন এবং সম্পাদনা করুন। ছবিটির সাইজ সর্বোচ্চ ২৫৬*২৫৬ পিক্সেলের হতে হবে। এখন File মেনু থেকে Save As-এ যান এবং Format থেকে ICO (windows icon) (*.ico) নির্বাচন করে ICO ফরম্যাটে সেইভ করুন। প্লাগইনটি ফটোশপের সব সংস্করণে সমর্থন করবে।

উইন্ডোজের সুর বদল করুন

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালু এবং বন্ধ করার সময় চাইলেনানা ধরনের সুর শোনা যায়। এতে সাধারণত স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুর ঠিক করা থাকে। ইচ্ছে করলে এ সুর বদলানো যায়। এ জন্য *.wav ফাইল নির্বাচন করতে হবে। তবে ফাইলটির আকার ১ মেগাবাইটের মধ্যে হতে হবে। আপনার পছন্দের সুরটি অন্য ফরম্যাটে থাকলে *.wav-এ রূপান্তর করে নিন। এবার পছন্দের সুরটি Windows XP Startup ও Windows XP Shutdown নামে সংরক্ষণ (সেভ) করুন। এবার ফাইলদুটি C:\Windows\Media-তে কপি অথবা পেস্ট করলেই তা উইন্ডোজের সুর হিসেবে বাজবে।

অটোরান বন্ধ রাখুন

বিভিন্ন সময় পেনড্রাইভ ব্যবহারে কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়ায়। সাধারণত পেনড্রাইভ কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অটোরান হয়, ফলে পেনড্রাইভে কোনো ভাইরাস থাকলে, সেটি সহজেই কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে। অটোরান বন্ধ রেখে এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। অটোরান বন্ধ করতে Start/Run-এ গিয়ে gpedit.msc লিখে গ্রুপ পলিসি এডিটর খুলুন। এবার উইন্ডোজ এক্সপির ব্যবহারকারীরা Computer Configuration/ Administrative Templates/System-এ যান এবং ভিসতা ব্যবহারকারীরা Computer Configuration/Windows Components/AutoPlay Policies খুলুন। এখন Turn Off AutoPlay নির্বাচিত করুন এবং সব ড্রাইভের অটোরান বন্ধ করতে All drives নির্বাচন করে Enabled করুন। এ ছাড়া উইন্ডোজের যেকোনো সংস্করণে অটোরান বন্ধ করার জন্য Start/Run-এ গিয়ে regedit লিখুন এবং HKEY_CURRENT_USER\Software\Microsoft\Windows\CurrentVersion\Policies\Explorer ঠিকানায় যান এবং NoDriveTypeAutoRun অপশনে খুলে hexadecimal ভ্যালু হিসেবে FF লিখে দিন।

অনলাইনে ছবি ঠিক করুন

অনলাইনে ছবি সম্পাদন করার জন্য www.cutmypic.com সাইটে গিয়ে ছবি ব্রাউজ করে GO বাটনে ক্লিক করুন। এবার ছবির কতটুকু রাখতে চান, তা নির্বাচন করুন বাম পাশের Original Pic থেকে। মাঝের কর্ণার এবং ড্রপ শ্যাডো নির্বাচন করে ডানে Preview বাটনে ক্লিক করে প্রিডিউ দেখুন। কাজ শেষ হলে Done বাটনে ক্লিক করুন। ছবিটি কাউকে মেইল করতে ফরম পূরণ করে Send বাটনে ক্লিক করুন আর কম্পিউটারে সেভ করতে ডানের Save Your Pic বাটনে ক্লিক করে সংরক্ষণ (সেভ) করুন।