x9Vqys1dSq61ciaKAbaEFXEh5M0 Kholabangla: November 2009

Menu Bar

Thursday, November 5, 2009

হ্যাকারের কবলে একদিনঃ জেনে নিন অভিজ্ঞতাটি

কম্পিউটার জগতে হ্যাকিং একটি পরিচিত টার্ম । কেউ এটিকে দেখেন অপরাধ হিসেবে আবার কেউ মনে করেন এটি বুদ্ধিমত্তার এক শৈল্পিক প্রয়োগ। সাধারণভাবে হ্যাকার শব্দটিকে নেগেটিভ অর্থেই ব্যবহার করা হয়। অন্যের বাড়িতে ঢুকে কেউ কিছু গোপনে নিয়ে গেলে যেমন তাকে চোর বলে, তেমনি কেউ যদি কম্পিউটার বিষয়ক বুদ্ধি ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে অন্যের প্রোগ্রাম কিংবা সফটওয়্যার চুরি বা নষ্ট করে তাকে হ্যাকার বলে। হ্যাকার যা করে তাকে বলে হ্যাকিং। কিন্তু যারা হ্যাকার তারা নিজেদের কোনোমতেই খারাপ ভাবতে রাজি নন। তারা নিজেদের বলেন, এক্সপার্ট প্রোগ্রামার, নেটওয়ার্কিং বিশেষজ্ঞ কিংবা কম্পিউটারবিদ।
আপনাদের অনেকেরই হয়ত হ্যাকিং-এর অভিজ্ঞতা আছে। আমার বিচিত্র অভিজ্ঞতাটি আপনাদের ই-মেইলকে হ্যাকারদের কবল থেকে নিরাপদ রাখতে সহায়ক হতেও পারে।

বাংলাদেশেও ওয়েবসাইট হ্যাকিং-এর ঘটনা নতুন কিছু নয়। ২০০৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর হ্যাকাররা দখল করে নেয় র�্যাব-এর ওয়েবসাইট এমনকি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটও হ্যাকিং হয়েছিল একই বছরের ১৫ আগস্ট। শুনলে অনেকে হয়তো আশ্চর্য হবেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। শুধু ১৯৯৫ সালে আড়াই লাখ বার আমেরিকার ডিফেন্স সিস্টেমের কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। ইন্টারনেটের বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু, গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসাসহ বিশ্বের বড় বড় সব প্রতিষ্ঠানেরই হ্যাকিং হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মাইক্রোসফটের মতো বিখ্যাত কোম্পানির করপোরেট নেটওয়ার্ক একাধিকবার হ্যাকিং হয়েছে। বাংলাদেশের ব্র্যাক বিডি মেইল একবার বড় ধরনের হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছিল।
এবার আসি আমার অভিজ্ঞতায়, একটা মেইল পেলাম যার সাবজেক্ট ছিল Dear Customer আর মেইল বডিতে যা ছিল তার বর্ননা না দিয়ে পাঠকের সরস অভিজ্ঞতার জন্য সেটি হুবহু উপস্থাপন করলাম

Dear Customer
Wednesday, May 20, 2009 7:17 PM
From: "Yahoo !"
To: undisclosed-recipients


Dear Valued Member,
Due to the congestion in all Yahoo users and removal of all unused Yahoo Accounts, Yahoo would be shutting down all unused accounts, You will have to confirm your E-mail by filling out your Login Info below after clicking the reply botton, or your account will be suspended within 24 hours for security reasons.

UserName:.........................................
Password:..............................................
Date Of Birth:.........................................
Country Or Territory:................................

After Following the instructions in the sheet, your account will not be interrupted and will continue as normal. Thanks for your attention to this request. We apologize for any inconvinience.


Yahoo! Customer Care
Case number: 8941624
Property: Account Security
Contact date: 2009-05-16

মেইলটি পাওয়ার পর আমি এটির সত্যতা যাচাই করার আর চিন্তা করতে পারিনি শুধু এই ভেবে যে এখনি রিপ্লায় না দিলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমার মেইল আইডি সাস্পেন্ড হয়ে যাবে। যদিও এর মধ্যে অনেক অসঙ্গতি ছিল যা আমি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ঠিকই উদ্ধার করতে পেরেছিলাম।

রিপ্লায় দেই আনুমানিক বিকাল ৬ টায়। রাত ১০টার দিকে নেদারল্যান্ড থেকে আমার এক বন্ধু ফোন করে জিজ্ঞেস করছে �তুমি কোথায়?� আমি স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দেই, কেন? বাসাতেই আছি। ও বলল তুমি যে মেইল করলা লন্ডনে আছ রিসার্চের কাজে, তোমার টাকা পয়সা, এয়ার টিকিট সব নাকি খোয়া গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি......। তাড়াতাড়ি আমাকে মেইল চেক করতে বলল। মেইল চেক করতে যেয়ে দেখি আমার পাসওয়ার্ড কাজ করছেনা। বুঝতে আর বাকি রইলনা যে হ্যাকারের কবলে পড়েগেছি।
যাই হোক অনেক চেষ্টা করে মেইলে ঢুকলাম। সেন্ট বক্সে যেয়ে দেখলাম Urgent শিরনামে হ্যাকার একটি মেইল সেন্ট করেছে প্রায় ২০ জনের কাছে (সি সি করে পাঠিয়েছে)। এটিও পাঠকের জন্য হুবহু তুলে দিলাম

Assalamualikum
How are you today, I am in hurry writing this mail to you, I am sorry for not informing you about my trip. I am in some terrible situation and I'm really going to need your urgent help. I had traveled to London yesterday to visit a new Researchers' Complex in London, Imperial College London, Gallery Section, (South Kensington Campus, London SW7 2AZ), England, Unfortunately for me all my money ,diaries and my return ticket was stolen at the hotel where i lodged, I am so confused right now, I don't know what to do or where to go, I didn't bring my phone here and the hotel telephone line's was burnt during the robbery incident, so i have access to only emails. I am full of panic now, the police only asked me to write a statement about the incident and directed me to the embassy, i have spoken to the embassy here but they are not responding to the matter effectively, Please i want you to lend me a sum 1,750 Pounds today, just to clear my Hotel bills and get the next plane home, I shall have your money reimbursed immediately on my return. I want you to send it via western union outlet so i can receive it with my passport. This is the details you need to send me the money.
NAME: Abu Yousuf

ADDRESS:53 freemansons Rd.

CITY:London

POSTCODE:E163NA

COUNTRY:United Kingdom
Please help me write out the reference number given to you by the western union official and the details you used in sending me the money,or help me scan the receipt and attached it for me.Thank you so much i would be waiting to hear from you.

Regards,
Abu Yousuf

আমি সাথে সাথে ২০ জনকে একটা কমন কারেকশান মেইল পাঠিয়ে দিলাম। কিন্তু সকাল বেলা ঘুম না ভাংতেই বড় ভাইয়ের কল পেলাম বাংলাদেশ থেকে, উনি টাকা পাঠানোর প্রস্থুতি নিয়ে বাসা থেকে বেড় হয়েছে। আমি উনাকে বিষয়টা খুলে বললাম। মেইল চেক করে দেখি অনেকেই লিখেছে তাদের উদ্বিগ্নতার কথা, একজন তো ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে ফিরে এসেছে অফিস বন্ধ পেয়ে, একজন ঠিকানা দিয়েছে তার বন্ধুর, যে লন্ডনে থাকে-ফোন করলেই টাকা নিয়ে আসবে, আরও অনেকেই টাকা পাঠানোর প্রস্থুতি নিয়েছিল। মজার বিষয় হচ্ছে যারাই টাকা পাঠানোর প্রস্থুতি নিয়েছিল তারা কেউই আমার কারেকশান মেইল পায়নি। পরে বুঝলাম হ্যাকার ২০ জনকে নয় প্রায় ৮০ জনকে মেইল করেছিল এবং সেন্ট বক্স থেকে সেগুলো ডিলিট করে ফেলেছিল, যার দরুন বাকিদের আমি কারেকশান মেইল পাঠাইনি বা পাঠানো প্রয়োজন মনে করিনি। ২/৩ জন অবশ্য বুঝতে পেরেছেন যে এটা ফ্যাক মেইল।

একজন আবার কৌশল করে হ্যাকারের কাছে জানতে চেয়েছে যদি আপনি ইউসুফ হয়ে থাকেন তাহলে আমাকে বলুন শাবিপ্রবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর কে? তাহলে আমি টাকা পাঠাব। তবে সৌভাগ্য যে টাকা পাঠানোর আগে সবাই আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন।
একবার আফ্রিকা থেকে এক মহিলা মেইল করল- আমি ক্যান্সার আক্রান্ত একজন রুগী, আমার বাবা ব্যাংকে ৫ মিলিয়ন ডলার রেখে গেছেন, আমার বাবা-মা প্লেন ক্রাসে মারা গেছেন। কাজেই আমি টাকাটা চ্যারিটি কাজের জন্য ব্যয় করতে চাই। আমি উত্তর দিলাম , ঠিক আছে তোমাকে কিছু চ্যারিটি প্রতিষ্টানের ঠিকানা দিচ্ছি। কিন্তু সে নাছুর বান্দা ......আমার মাধ্যমেই সে টাকাটা দিতে চায়। আমিও ভাবলাম, দেখিনা শেষ পর্যন্ত সে কি করে। কেননা দীর্ঘদিন ধরেই এরকম মেইল পাচ্ছিলাম। সে আমাকে ব্যাংকের ঠিকানা দিল, ব্যাংক ম্যানাজারের ই-মেইল আইডি দিল এবং কিভাবে টাকাটা ক্লেইম করতে হবে সবই বলে দিল। ব্যাংক আমার আবেদন গ্রহন করল, কালার (ব্যাংকের মনোগ্রাম সহ) প্যাডে ম্যানেজারের সিল সই সহ প্রত্যয়ন পত্রও পেলাম। আমার ঠিকানা, ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার.........সবই দিলাম......। সব কিছু যখন ঠিকঠাক তখন ব্যাংক আমাকে জানাল টাকাটা ছাড় করাতে এক হাজার ইউরো ঐ একাউন্টে প্রথমে ডিপজিট করতে হবে। বাস, আমি ফলাফল পেয়ে গেলাম- ক্যান্সার রুগী, ব্যাংক, ব্যাংক ম্যানাজার সবই একই সুত্রে-একই চক্রে গাথা। আমি যোগাযোগ বন্ধ করে দিলাম, যদিও সে অনেকবার নক করেছে।
এরকম অনেক চক্রই সক্রিয় আছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। কাজেই পাঠক সাবধান থাকুন এসব চক্র থেকে। মনে রাখবেন সাবধানের মার নাই।

লেখক: পিএইচডি গবেষক, ইটালী, ayousufcep@yahoo.com

ডিজিটাল টাইমের দুর্ভোগ থেকে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি

চিরনিন্দুক সংবাদমাধ্যমগুলো সম্প্রতি ডিজিটাল টাইমে জনগণের দুর্ভোগ নিয়ে একটা হৈ চৈ বাধানোর চেষ্টা করছে। এটি আমাদের সংবাদমাধ্যমের একটি পুরানো রোগ।�যা কিছু কল্যাণকর তার পিছনে তারা লেগে যায়। হয়তো এ কারণে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছিলেন, 'কুত্তার বাচ্চা সাংবাদিক'।
বলা হচ্ছে, ঢাকার জুনিয়র স্কুলগুলোর প্রায় সবকটি শুরু হয় আটটায়। অনেকেরই স্কুল বাসা থেকে বেশ দূরে। আটটায় স্কুলে পৌঁছাতে তাই বাসা থেকে রওনা দিতে হয় সাতটার আগে, অন্ধকার থাকতে। এতে স্কুলগামী শিশুদের নিরাপত্তা সংকট তৈরী হচ্ছে। অনেকে আবার বেআক্কেলের মত বলছেন, প্রধানমন্ত্রী তার চৌদ্দগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন করেছেন, অথচ শিশুদেরকে অন্ধকারে রাস্তায় বের করে দিচ্ছেন। এমনকি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার উদ্দেশ্যে ঘড়ির কাঁটা একঘন্টা এগিয়ে নেয়ার কথা বলা হলেও তাতে নাকি কোন লাভ হয় নি বলে প্রচার করা হচ্ছে। এর মধ্যে আবার একজন সাবেক সচিব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে নেয়া নাকি বেআইনী। এ জাতির দুর্ভাগ্য যে কোন ভালো উদ্যোগই মানুষ বুঝতে পারলো না। একটু তলিয়ে দেখলে বোঝা যাবে শীতকালে ঘড়ির কাঁটা একঘন্টা এগিয়ে থাকার ফলে দেশে প্রচুর নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। মনে রাখতে হবে এই সরকারের অন্যতম লোভনীয় নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল প্রত্যেক পরিবারের একজন সদস্যের চাকুরীর ব্যবস্থা করা। সরকারী দলের নেতা-কর্মীরা রাত-দিন পরিশ্রম করে যোগ্য চাকুরীপ্রার্থীদের একটি তালিকা করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমাও দিয়েছে। তবে এটি একটি অত্যন্ত ব্যয়সাধ্য উদ্যোগ।�অথচ, শুধুমাত্র শীতকালে ঘড়ির কাঁটা একঘন্টা এগিয়ে রাখার ফলে সরকারী কোষাগার থেকে কোনরকম অর্থব্যয় ছাড়াই লক্ষাধিক নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। কয়েকদিনের মধ্যেই স্কুলগামী শিশুদেরকে নিয়ে তাদের মায়েদেরকে অন্ধকার থাকতে পথে বের হতে হবে।�অন্ধকারের সাথে যুক্ত হবে ঘন কুয়াশা। তৈরী হবে ছিনতাই এর আদর্শ পরিবেশ।�শুধু রাজধানীতেই প্রতিদিন যদি পাঁচ হাজার ছিনতাই সম্ভব হয়, তাহলে এর মাধ্যমে দশ হাজার বেকার তরুণের কর্মসংস্থান হবে। (এখানে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করার বিষয়টিও ভাবতে হবে)। সারা দেশে আরও হাজার পঞ্চাশেক ছিনতাই ঘটানো গেলে সৃষ্টি হবে এক লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান।�এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ছিনতাই বাংলাদেশে এখন একটি স্বীকৃত পেশা। স্বয়ং পুলিশের উপস্থিতিতে দিনে-দুপুরে টেন্ডার ছিনতাই হচ্ছে। এমনকি ডিজিটাল সরকারের অনেক দেশপ্রেমিক পুলিশও এই পেশাতে পার্ট টাইম কাজ করছেন।�ফলে ছিনতাই পেশাকে খারাপ চোখে দেখার দিন বদলে গেছে।�এই পেশার সাথে জড়িতদের জন্য একটি সুন্দর নাম বাছাই এবং এই পেশার বিষয়ে সাধারণ মানুষের ভুল ধারণা দূর করতে বিশ্বব্যাংক বা ইউনিসেফের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এনজিওগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। প্রত্যেক ভালো কাজেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে।� এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জনগণকে টুকটাক ছুরিকাঘাত, খুন-জখম মেনে নিতে হবে।�তবে, নিম্নলিখিত কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া হলে ছিনতাই এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও অনেকটা কমে যাবে:

১. এক ধরণের স্বল্পমূল্যের ওয়ান টাইম মানিব্যাগের প্রবর্তন করতে হবে যার এক প্রান্তে সুতা বাধা থাকবে। মানিব্যাগটি বিনামূল্যে জনসাধারণের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

২. ছিনতাইকারীদেরকে এক ধরণের রেডিয়ামযুক্ত আইডি কার্ড দেয়া হবে যা অন্ধকারেও জ্বলজ্বল করবে।

৩. জনগণের মধ্যে এই মর্মে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে যাতে তারা সকালে বের হবার সময় বিশেষ মানিব্যাগে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা রেখে সুতার একপ্রান্তে ধরে হাটতে থাকে এবং ছিনতাকারী তার রেডিয়ামযুক্ত আইডি কার্ড দেখানোর সাথে সাথে মানিব্যাগের সুতাটা ছেড়ে দেয়। এর ফলে ছিনতাইকালে কোনরূপ অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না।

৪. একই ব্যক্তির নিকট হতে যাতে সপ্তাহে একাধিকবার ছিনতাই না করা হয়, সে উদ্দেশ্যে ছিনতাইকারীদেরকে রেডিয়ামযুক্ত টোকেন দেয়া হবে।�মানিব্যাগ গ্রহণ করার পর ছিনতাইকারী মানিব্যাগের মালিককে একটি টোকেন দিবে যা তিনি পকেট, ওড়না বা দৃশ্যমান কোন স্থানে লাগিয়ে রাখবেন। একেক সপ্তাহের জন্য একেক রঙ বা ডিজাইনের টোকেনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. ছিনতাইকারীদেরকে বাছাই করা, আইডি কার্ড ও টোকেন বিতরণ - ইত্যাদি যথেষ্ট শ্রমসাধ্য কাজ।�এই ধরণের কাজের জন্য যে আত্মত্যাগ ও কারিগরী দক্ষতা প্রয়োজন তা ইতোমধ্যে ছাত্রলীগ নামে আমাদের দেশীয় একটি সংস্থা যথেষ্ট পরিমাণে অর্জন ও প্রদর্শন করেছে।�ফলে তাদেরকে এই গুরু দায়িত্বটি অর্পন করা যায়।

৬. এই বিশাল এ মহান উদ্যোগটি যাতে সুচারু ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্নভাবে সমাধা করা যায় সে উদ্দেশ্যে একটি প্রকল্প নেয়া যেতে পারে।� বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করলে তারা এর অর্থায়ন করতে রাজী হবে।�যেহেতু প্রকল্পটি সরাসরি বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের সাথে সম্পর্কিত এবং যেহেতু এই প্রকল্পে যে ধরনের কারিগরী দক্ষতা প্রয়োজন তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজ দলেই সর্বাপেক্ষা বেশী বিদ্যমান, তাই তাঁকেই এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা যেতে পারে।� এই প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি বিদেশ ভ্রমণ থাকলে তিনি এতে সদয় সম্মতি প্রদান করবেন বলে আশা করা যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন বাংলাদেশে যা কিছু কল্যাণকর ঘটেছে তা তাঁর দলের অবদান। উপরোক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশের জনগণের জন্য তার দলের অবদানের তালিকায় আরও একটি উজ্জ্বল ছত্র যুক্ত হবে।